সুন্দরবনের এক অতি পরিচিত বাইন গাছের ফুল থেকে সাধারণত বাইন ফুলের মধু সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত আষাঢ় মাসে বাইন গাছের ফুল ফোটে এবং এরপরই বাইন ফুলের মধু সংগ্রহ করা শুরু হয়। এই সময় মৌয়ালরা বাইন ফুলের মধু সংগ্রহের জন্য সুন্দরবনে চলে যায়। সুন্দরবনের মধুর ভিতরে বাইন ফুলের মধু ও খলিশা ফুলের মধু বেশ জনপ্রিয়। সাধারণত বাংলাদেশের খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে বাইন ফুলের মধু বেশি পাওয়া যায়।
সুন্দরবনের বাইন ফুলের মধুর উপকারিতা গুলো হলো:
- সুন্দরবনের বাইন ফুলের মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যেমন, হজমশক্তি বৃদ্ধি, সর্দি-জ্বর দূর হওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূরীকরণ করতে সাহায্য করে।
- বাইন ফুলের মধুতে আছে কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও লৌহর মতো বিভিন্ন খনিজ উপাদান। যা রক্তে ‘হিমোগ্লোবিন’ বাড়াতে সাহায্য করে।
- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ করে মধু খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করে।
- এতে থাকা ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স ‘কোষ্ঠকাঠিন্য‘ দূর করতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত বাইন ফুলের মধু খেলে শরীরের ওজন কমানো, রক্তের কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমানো ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
- ত্বক ও চুলের যত্নে বিশেষভাবে এই মধুর ব্যবহার করা হয়। ত্বক ও চুলের যত্নে মধু ব্যবহারের নিয়ম।
- হার্টের রোগীদের জন্য সুন্দরবনের বাইন ফুলের মধু অনেক কায্যকরি হিসেবে কাজ করে।
- নিয়মিত এই মধু খেলে দেহের রক্ত চলাচল ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
সুন্দবনের মধু সংগ্রহ করা যতোটা এডভেঞ্চারাস, তার চেয়েও বেশি জীবনের ঝুঁকি। প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদিত এই অর্গানিক মধুটি পেয়ে যাচ্ছেন ফালাক ফুডে। ১০০% অর্গানিক মধু মানেই সুন্দরবনের মধু।